pearul
বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেকগুলো ঐতিহাসিক দিন আছে, যা আমাদের মনে রাখতে হবে। তাদের মধ্যে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ একটি দিন। এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। যা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ গুলির একটি। এদেশের মানুষকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন—‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সারাদেশে এই দিনটি ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে যার অংশ হিসাবে আমনুরা হযরত বুলন্দ শাহ্ মহাবিদ্যালয় এর শিক্ষক-কর্মচারীরাও দিনটি পালন করেন।
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ন্যায় আমনুরা হযরত বুলন্দ শাহ মহাবিদ্যালয় এর সকল শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত থেকে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দিবসটি উদযাপন করেন।
আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয়ে জাতি পূর্ণতা লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমনুরা হযরত বুলন্দ শাহ্ মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
মহান বিজয় দিবস উদযাপন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের শাসকদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আজকের এই দিনে বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয় এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ জায়গা দখল করে নেই। সেই বিজয় দিবস স্মরণে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে স্বল্প পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে রচনা প্রতিযোগিতার মধ্যে পুরস্কার বিতরণের পর আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীরমক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয় ।
আমরা হযরত বুলন্দ শাহ মহাবিদ্যালয় কর্তৃক মহান বিজয় দিবস 2019 উদযাপন করা হয়। বিজয় দিবসে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস 2019 উদযাপন করার জন্য জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জাতীয় কর্মসূচির বাইরে নিজস্ব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাঙালি জাতির এই গৌরবের মুহূর্তে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বর্তমান প্রজন্মের মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতা এবং শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর উদ্যোগে জেলার নির্বাচিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসক উৎসব 2019 অনুষ্ঠিত হবে। তার প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছে অত্র কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
- জাতীয় শোক দিবস পালনের অংশ হিসেবে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের প্রত্যয়ে আমনুরা হযরত বুলন্দ শাহ মহাবিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দুটি ফলোজ ও তিনটি বনজ গাছ লাগানো হয়। এতে অত্র মহাবিদ্যালয় সকল শিক্ষষক কর্মচারী সহ ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।